বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান |
দেশে-বিদেশের সকল স্তরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ে বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়-সবাই বাংলাদেশি।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
EN
শিরোনাম
আবার এক হচ্ছেন ধানুষ-ঐশ্বরিয়া?মব কালচার বন্ধ ও আইনের শাসন চালুর দাবি ছাত্র আন্দোলনেরমব জাস্টিস ও কিলিং মিশন সরকার সমর্থন করে না : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামআইন নিজের হাতে তুলে না নিতে ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশনাগণঅভ্যুত্থান : চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যুসঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাদলের নির্দেশনা না মানলে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে : নয়নবৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডারসহ নিহত ৮, আহত ৫৯তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান ঢাবি শিক্ষার্থীদেরবেরোবিতে উপাচার্য নিয়োগের পরে ফিরেছে প্রাণ চাঞ্চল্য, শুরু হচ্ছে ক্লাস
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
তারেক রহমান
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:২৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়। এরকম একটা পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অপশক্তি যাতে আবার গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং সাফল্যের ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে-সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
দেশে-বিদেশের সকল স্তরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ে বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়-সবাই বাংলাদেশি।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তপন দে’র যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ফেনীর কামাক্ষা চন্দ, খাগড়াছড়ির অজয় সেনগুপ্ত, সাভারের উত্তম ঘোষ, খুলনার সুজনা জলি, বরিশালের সঞ্জয় গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত টিভি প্রযোজক মনোজ সেন গুপ্ত, গৌড় সিনহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম ইসকনের চারু চন্দ্র দাস ব্রম্মচারী, অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গোস্বামী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, গুলশান পূজা কমিটির জেএল ভৌমিক, পান্না লাল দত্ত, হিন্দু মহাজোটের সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নির্মল রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গুম, খুন অপহরণ কিংবা আয়নাঘরের ভীতিমুক্ত পরিবেশে অনেক বছর পর আতঙ্কমুক্ত ও স্বাধীনভাবে আজকের এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খুব সহজেই কিন্তু আজকের এরকম একটি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়নি
এই স্বাধীনমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের সকল ধর্ম-বর্ণের গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আমাদের এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় লাখো-কোটি জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাজারও শহীদের আর অসংখ্য ভাই-বোনের চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীন ও স্বস্তির পরিবেশে আমরা অর্জন করতে পেরেছি। স্বাধীন গণতন্ত্র আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এই রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে যারা হতাহত হয়েছেন-আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-দেশের জনগণ সারাজীবন তাদের এই আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
তারেক রহমান বলেন, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ পতিত সরকার নিজেদের শাসন-শোষণ থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ