Hot Posts

6/recent/ticker-posts

রাঙামাটি থেকে উঠল ১৪৪ ধারা, অবরোধে দুই জেলায় অচলাবস্থা

 

রাঙামাটি শহরের বনরূপা দেওয়ানপাড়া এলাকায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায়



পাহাড়ি–বাঙালি সংঘাতের পর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে। খাগড়াছড়ির পর গতকাল রোববার রাঙামাটি থেকেও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। অবশ্য অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গতকালও দুই জেলায় ছিল অচলাবস্থা। এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে নিহত দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে একজন নিহত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে সেখানে পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে রাতে জেলা সদরে গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন রাঙামাটিতে আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হন।

১৪৪ ধারা উঠল


পাহাড়ি–বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটি পৌর এলাকায় জারি করা ১৪৪ ধারা জারি তুলে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে এই ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে।


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান গতকাল সকালে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। তাই রোববার বেলা ১১টা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়।


এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার পর খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। সেখানে শুক্রবার দুপুরে এ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল।


অবরোধ-ধর্মঘট 


৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে গতকালও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। খোলেনি অধিকাংশ দোকানপাট। আজ সোমবার অবরোধ শেষ হবে।


পাহাড়ের সংঘাতের প্রতিবাদে শুক্রবার চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।


অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গতকাল খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর, আদালত সড়ক, বাস টার্মিনাল, চেঙ্গি স্কয়ার, মধুপুর সড়কসহ আশপাশের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


রাঙামাটিতেও পরিবহন ধর্মঘট ও অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে রাঙামাটি শহরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন মানুষ বের হননি। সকাল থেকে শহরে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি।


রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-কাপ্তাই-বান্দরবান রুটেও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। তবে বান্দরবানে অবরোধের প্রভাব পড়েনি।


অবরোধের পাশাপাশি রাঙামাটিতে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটও চলছে। শুক্রবার যানবাহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। জানতে চাইলে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ